Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার

জনগণের দোরগোড়ায় সরকারী-বেসরকারী সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষে ২০১০ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে দেশব্যাপী সকল ইউনিয়নে একযোগে তৈরী হয় ৪৫০১ টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে তৈরী হয় নগর ডিজিটাল সেন্টার ও পৌর ডিজিটাল সেন্টার ।

 

একসেবাঃ

উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন প্ল্যাটফর্ম যা পূর্বের ডিসিএমএস এর পরিবর্তে তৈরী হয়েছে। একসেবা ওয়েবসাইটে গিয়ে উদ্যোক্তা রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন। নিজের মত সার্ভিস বাস্কেট তৈরীর জন্য নতুন সার্ভিস সংযুক্তির আবেদন করুন। প্রতিদিনের অফলাইন রিপোর্ট প্রতিদিন করতে হবে। লিংক একসেবা www.eksheba.gov.bd গাইডলাইন http://eksheba.gov.bd/user-manual

 

এজেন্ট ব্যাংকিংঃ

প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে এটুআই এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করেছে। ইতিমধ্যে ২৯০০+ ডিজিটাল সেন্টার হতে ৩টি ব্যাংকের অধীনে (ব্যাংক এশিয়া, মধুমতি, এনআরবিসি) এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দেয়া হচ্ছে। মূলত এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে উদ্যোক্তারা ব্যাংকের পক্ষে গ্রাহকের একাউন্ট খোলার আবেদন সংগ্রহ, বিভিন্ন ধরণের আমানত সংগ্রহ, পল্লী বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ, বিভিন্ন ফি আদায়, রেমিটেন্স সেবাসহ অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা প্রদান করতে পারছে। আর এর মাধ্যমে উদ্যোক্তারা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে পাশাপাশি ডিজিটাল সেন্টারও টেকসই-শক্তিশালী হচ্ছে। এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালুসহ এ বিষয়ক কোন জিজ্ঞাসা থাকলে কল ও ইমেইল করে জানতে পারেন- জনাব সুদীপ্ত শাহাদাত (01911166612; mshahadat.ju@gmail.com)

 

 

একশপঃ

এক-শপ, একটি ই-কমার্স মার্কেট প্লেস, যেখানে দেশের সকল ই-কমার্স কোম্পানি সংযুক্ত থাকবে এবং যেখানে পুরোপুরি ফোকাস হিসেবে ধরা হয়েছে ইউনিয়ন পর্যায়ের মানুষদের। এক-শপ দেশ ব্যাপী ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের সহায়তা নিয়ে এসিস্টেড ই-কমার্সের মডেলের মাধ্যমে, যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না তাদেরকে ই-কমার্সের লেনদেনে আওতা ভুক্ত করবে এবং তাদের পক্ষে কেনাবেচা করবে। এক-শপ এর মাধ্যমে একজন নকশিকাঁথা উৎপাদকের নকশিকাঁথা ন্যায্য মূল্যে দেশব্যাপি ও পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী বিক্রয় করতে পারবে এবং একই সাথে সেই নকশিকাঁথার উৎপাদক তার নকশিকাঁথা তৈরিতে প্রয়োজনীয় সুই, সুতাও এক-শপ থেকে ক্রয় করতে পারবে । এক-শপের মাধ্যমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে ভবিষ্যতে দেশীয় পণ্যের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন পণ্য দেশের বাইরে রপ্তানি করব। এক-শপ বিষয়ক কোন জিজ্ঞাসা থাকলে যোগাযোগ করুন, জনাব শাহরিয়ার হাসান জিসান (০১৬৭০৯৩৩৮৩৩, jiisun.a2i.pmo@gmail.com) একশপ গ্রুপ লিংকঃ https://www.facebook.com/groups/1832240986808664/

 

ডিজিটাল সেন্টার ব্লগঃ

ডিজিটাল সেন্টার ব্লগ হচ্ছে ডিজিটাল সেন্টার বিষয়ে মুক্ত আলাপ-আলোচনার অনলাইন প্লাটফর্ম। এখানে উদ্যোক্তাগণ সেবা, সেন্টার ও নিজেদের উন্নয়নের অভিজ্ঞতা, সমস্যাদি ও সমাধানে পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা তুলে ধরবে। ব্লগের মেম্বার সংখ্যা বর্তমানে ১৬ হাজার। কোন উদ্যোক্তা যদি ব্লগের মেম্বার এখনো না হয়ে থাকেন ইমেইল (shoykotbd@gmail.com) করে জানান। ইমেইল এর শিরোনাম হবে “ব্লগের সদস্য হতে চাই” সাথে আপনার পরিচয় বিস্তারিত দিবেন। ব্লগ লিংক https://uiscbd.ning.com/

 

ডিজিটাল সেন্টার ফেসবুক গ্রুপঃ

Digital Center, Bangladesh নামে ফেসবুকে উদ্যোক্তাদের জন্য এই গ্রুপটি আছে। বর্তমানে মেম্বার প্রায় ৫ হাজার। এখনো মেম্বার না হয়ে থাকলে রিকোয়েস্ট পাঠান। এখানে মূলত ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রম নিয়ে লিখা যাবে, ছবি-ভিডিও শেয়ার করা যাবে। লিংক https://www.facebook.com/groups/telecentrebd/?ref=group_header

 

একসেবার আইডি পাসওয়ার্ডঃ

একসেবার উদ্যোক্তা রেজিস্ট্রেশন অপশন এ গিয়ে আবেদন সম্পন্ন করুন। ফিরতি মেইলে আইডি ভেরিফিকশনের মেইল দেয়া হবে। এই মেইলটি চেক করুন আপনার ইমেইল এর ইনবক্স ও স্প্যামবক্স এ। যদি সেখানে না পেয়ে থাকেন তাহলে একসেবা সাইটের যোগাযোগ নম্বরে কল কিংবা ইমেইল করে জেনে নিন। লিংক http://eksheba.gov.bd/support#contact

 

একসেবায় রিপোর্ট আপলোডঃ

রিপোর্ট আপলোডসহ সার্বিক বিষয়ে আপনাদের পারফর্ম মূল্যায়ন পূর্বক গুরুত্বপূর্ণ সুসংবাদ। 

১। একসেবাতে প্রদানকৃত তথ্যের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ পারফর্ম করা প্রথম ২৫ জনের জন্য থাকছে এটুআই কর্তৃক বিদেশ ভ্রমণ।

২। একসেবাতে প্রদানকৃত তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ পারফর্ম করা প্রথম ২০০ জন নিয়ে আকর্ষণীয় পরিসরে উদ্যোক্তা সম্মেলন (জুন-জুলাই) হবে।

 

সোনালী প্রি-পেইড কার্ডঃ

সোনালী ব্যাংকের প্রি-পেইড কার্ড সম্পর্কে আপনাদের জিজ্ঞাসার প্রেক্ষিতে কিছু প্রশ্নোত্তর।- 

১। সোনালী প্রি-পেইড কার্ড কেন?

-একসেবা হতে প্রদেয় সকল অনলাইন সেবার পেমেন্ট এই কার্ড হতে দেয়া যাবে। 

২। কার্ড কিভাবে পাবেন?

-জেলা পর্যায়ে উদ্যোক্তাদের ৩ দিন ব্যাপী যে প্রশিক্ষণ কর্মসূচী হয়েছে সেখানে একটি অংশ ছিল সকল উদ্যোক্তাবৃন্দ সোনালী কার্ডের আবেদন পূরণ করবে এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে সকল কার্ড একটি ফাইলে করে এটুআই বরাবর প্রেরণ করবে। 

৩। জেলা পর্যায়ে ট্রেনিং হয়েছে কিন্তু কার্ডের আবেদন করি নি কিংবা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে একটি ফাইলে করে পাঠায়নি। এখন কি করব?

-এক্ষেত্রে একটি কাজ করতে হবে, আপনার উপজেলার সকল উদ্যোক্তারা মিলে একসেবা হতে কার্ডের আবেদন ফর্ম (http://eksheba.gov.bd/website_files/sonali_bank_card_application.pdf) ডাউনলোড করে ফর্মটি পূরণ করে সাথে ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ এর সত্যায়িত ফটোকপি সংযুক্ত করে উপজেলা নির্বাহী স্যারের অফিস হতে এই ঠিকানায় প্রেরণ করবেন। 

  • জনাব মোঃ পারভেজ হাসান
  • (উপ-সচিব)
  • ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ফর লোকাল ডেভেলপমেন্ট, এটুআই প্রোগ্রাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুরাতন সংসদ ভবন, তেজগাঁও, ঢাকা।
  • মোবাইলঃ ০১৭১২১৫১২০০, ইমেইলঃ 22parvez@gmail.com

৪। কার্ড বিষয়ক তেমন কিছু জানিনা। কি করতে পারি? 

-আমাকে কল কিংবা ইমেইল করুন। 

 

কার্ড ব্যবহারের নিয়মাবলীঃ

১. উদ্যোক্তা প্রি-পেইড কার্ড প্রাপ্তির পরে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড-এর যে কোন শাখা হতে কার্ডে টাকা লোড করা যাবে ।

২. এই কার্ড দ্বারা এটিএম (ATM) থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে না । পস (POS) এবং অনলাইনে কেনাকাটা করা যাবে। এছাড়াও সরকারী বিভিন্ন সেবার মূল্য (যেখানে অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা আছে) পরিশোধ করা যাবে ।

৩. প্রতিটি কার্ডের সাথে আলাদা খামে ATM pin এবং Internet Pin; সম্মিলিত পিন মেইলে দেওয়া আছে, যা নিরাপদে সংরক্ষণ করতে হবে। ।কার্ডটি এটিএম মেশিনে ব্যবহারের জন্য ATM Pin এবং ই-কমার্স লেনদেনের জন্য Internet Pin ব্যবহার করতে হবে ।

৪. ই-কমার্স পেমেন্ট পদ্ধতি :

# নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে VISA অথবা Q-Cash আইকনে ক্লিক করুন ।
# কার্ড নম্বর, নাম, Expiry month, Expiry Year এবং Secuirty Code (CVV2 - কার্ডের পিছনে উল্লিখিত ৩ সংখ্যা) ইনপুট দিন ।
# Q-Cash এর মাধ্যমে পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে Internet PIN দিতে হবে । 
# Submit / Pay Now বাটনে এ ক্লিক করুক ।
# Computer Screen এ Confirmation Message দেখা যাবে ।

৫. প্রি-পেইড কার্ড সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যার জন্য নিম্মোক্ত মেইল এবং ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করুন ।

 

ডিজিটাল সেন্টার শক্তিশালী ও টেকসইকরণ বিষয়ক ওয়ার্কশপঃ

জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত "ডিজিটাল সেন্টার শক্তিশালী ও টেকসইকরণ" বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা সম্পর্কে আপনারা অনেকেই অবগত আছেন। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী হচ্ছেন, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার), এসি আইসিটি, সহকারি কমিশনার (মনোনীত) ও সহকারী প্রোগ্রামার (সকল) এবং অত্র জেলাস্থ সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ।

মূলত, কর্মশালায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে উদ্যোক্তাদের সার্বিক দেখভাল ও প্রয়োজনীয় বিষয়ে সহযোগিতা প্রদানের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া উদ্যোক্তাদের মূল্যায়ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে ম্যাসেজ হচ্ছে- আপনাদের সেন্টার কিংবা নিজেদের (উদ্যোক্তাশীপ সম্পর্কিত) কোন সমস্যা হলে প্রথমে উপজেলা প্রশাসনকে জানাবেন। এতে সমাধান না হলে জেলা প্রশাসনকে জানাবেন। আর আমরা সর্বদা পাশে আছি।

 

বিটিসিএল ইন্টারনেটঃ

যেসকল ডিজিটাল সেন্টার বিটিসিএল কানেকশনের আওতায় আছেন তারা লিংকে প্রদত্ত গ্রুপে জয়েন করে ফেলুন। গ্রুপে সমস্যার বিষয়ে জানান। এছাড়াও ইমেইল করে জানাতে পারেন, ইমেইল sarahalam102021@gmail.com

গ্রুপ লিংক https://www.facebook.com/groups/1411491845576001/

 

সেন্টার কিংবা উদ্যোক্তাশীপ নিয়ে সমস্যাঃ

ইমেইলে অথবা কল করে সমস্যাটি জানান।

 

ই চালান

“পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফি এখন অনলাইনে” ই-চালানের মাধ্যমে প্রদান করা যাবে। ই-চালান ওয়েসাইট হতে নিন্মোক্ত সরকারি সেবাসমুহের ফি অনলাইনে জমা দিতে পারবেন।

১। নতুন পাসপোর্টের আবেদন ফি
২। পাসপোর্ট নবায়ন ফি
৩। হারানো বা নষ্ট হবার কারণে নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র প্রাপ্তি ফি 
৪। জাতীয় পরিচয়পত্র নবায়ন ফি 
৫। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি
৬। তথ্য উপাত্ত সংশোধন ফি এবং
৭। অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ফি
লিঙ্কঃ http://echallan.gov.bd 
রেজিস্ট্রেশনঃ প্রথমে আপনি ই-চালান ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করুন। তথ্যগুলো অবশ্যই ইংরেজিতে পূরণ করবেন। এরপর আপনার কাঙ্ক্ষিত সেবার নাম সিলেক্ট করে, যে ব্যক্তির জন্য সেবার ফি জমা দিবেন তার তথ্য দিয়ে চালান ফরম টি পূরণ করে পেমেন্ট করুন। 
প্রাথমিকভাবে, পাইলট প্রোগ্রামের আওতায় ই-চালান ওয়েবসাইট হতে, যাদের সোনালী ব্যাংকের প্রি-পেইড কার্ড আছে এবং ডিজিটাল সেন্টার থেকে আপনারা সেবার ফি জমা দিতে পারবেন। অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা না থাকলেও আপনি অনলাইনে চালান ফরম ফিলআপ করে সোনালী ব্যাংকের আগারগাঁও শাখাতে টাকা জমা দিতে পারবেন। শিগ্রই আরোও নতুন নতুন সরকারি সেবাসমূহ যুক্ত হবে ই-চালান ওয়েবসাইটে। ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ও ই-চালান সম্পর্কে আপডেট থাকতে যুক্ত থাকুন-https://www.facebook.com/DFSA2i/
--ই-চালান বিষয়ক যে কোন তথ্য বা পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেনঃ জনাব মোঃ মাসুম বিল্লাহ

মোবাইলঃ ০১৭১১-১৮১৫৪০, ই-মেইলঃ masum.a2i.pmo@gmail.com / echallan.bd@gmail.com

 

পিডিসি ও সিডিসি

পৌরসভা ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে ও নগর ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য সিটি কর্পোরেশনে “ডিজিটাল সেন্টার শক্তিশালী ও টেকসইকরণ” কর্মশালা চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে পাঁচটি বিভাগ ও পাঁচটি সিটি কর্পোরেশনে এই কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। সিডিসি সার্বিক (আতিক ইসলাম; ০১৭১৬০২০৩৭৩, ইব্রাহিম খলিল; 01670926633) পিডিসি সার্বিক (শিউলি আক্তার; ০১৬৮৬৬৭৬৮৭৫, ইকবাল হোসেন; 01553090000)

 

সেবা বিষয়ে জানতে চাইঃ

কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও ইউডিসি সার্বিক (এসএম আরিফুজ্জামান; ০১৭১৩২৫৫১৪২)

হজ্জ রেজিস্ট্রেশন, ই-চালান (আরিফুজ্জামান মুন; ০১৭২২৬৬৮১৯৪)

আউট সোর্সিং, এজেন্ট ব্যাংকিং (আব্দুল মান্নান; ০১৭১১৫১১৪৯৮)

মেডিকেল ভিসা, একশপ (আব্দুল কাদের; ০১৭১৩৯৯১৬৩৬)

ভিসা প্রসেস (আজিজুল হাকিম; ০১৮৩০৩০৭২৯৮, সোলায়মান মুন্সী; 01726862753 )

বিভিন্ন ধরণের সনদ (জাহাঙ্গীর হোসেন; ০১৭৪৪৫১৭০৫৫)

চাকুরি সহ বিভিন্ন ধরণের অনলাইন আবেদন (সাকিব হোসেন; ০১৮৩২৯৩৭৩৩৬)

মনোয়ার হোসেন (সোনালী প্রি-পেইডকার্ড; ০১৮১২৯৬৭০৮০)

মাহাবুবুর রহমান কামারজানি (ইউনিয়ন তথ্য বাতায়ন আপডেট ও নেটসংক্রান্ত সমস্যা সমাধান, ০১৭৪৬২১০৫২৩, আমিনুর মিয়া, ০১৭৯৯৮৭১১৮৭, ০১৮৪৫৪৮৭৩৮৮)

ইউডিসিতে ব্যবহৃত যান্ত্রিক (লেমেনেটিং, স্ক্যানার, ক্যামেরা, প্রিন্টার, প্রজেক্টর, লেপ্টপ, ডেক্সসপ সহ, ইত্যাদি) সমস্যা বিষয়ে খোরশেদুজ্জামান (সুমন) ০১৭২২২০৬৫৪৩, ০১৮২২২০৬৫৪৩, জহির রায়হান, ০১৭৩৭১৯৪০৪৮ 

ব্যাংক এশিয়া, গ্যাসবিল প্রদান, কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, বিজনেস মার্কেটিং ও কমিউনিকেশন, কাস্টমার রিলেশেনশশিপ (মো: আরিফুর রহমান; ০১৮৪২-৯৩৪৪৩৯)

কম্পিউটার প্রশিক্ষনার্থীদের সনদ দিতে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন, ছাত্র/ছাত্রী রেজিষ্ট্রেশন, পরীক্ষা এবং বেসিক ট্রেড্রের সনদ (মোঃ শামীম; ০১৭১৮৮৯৯৪১৮)

 

আগ্রহী উদ্যোক্তাগণ কমেন্টে নাম জানান যারা যে সেবা বিষয়ে অন্যদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।

ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার কী ও কেন?

 

ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপিত তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর একটি অত্যাধুনিক তথ্য ও জ্ঞানকেন্দ্র(টেলিসেন্টার) যার উদ্দেশ্য হলো তৃণমূল মানুষের দোরগোড়ায় তথ্যসেবা নিশ্চিত করা। এ কেন্দ্র থেকে গ্রামীণ জনপদের মানুষ খুব সহজেই তাদের বাড়ীর কাছে পরিচিত পরিবেশে জীবন ও জীবিকাভিত্তিক তথ্য ও প্রয়োজনীয় সেবা পায়।

 

গত ১১ নভেম্বর ২০১০ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয় থেকে এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)’র প্রশাসক ও নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিস হেলেন ক্লার্ক ভোলা জেলার চর কুকরিমুকরি ইউনিয়ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের সকল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউ ডি সি) একযোগে উদ্বোধন করেন। এ সকল কেন্দ্র থেকে মাসে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ তথ্য ও সেবা গ্রহণ করছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার মাধ্যমে সহজে, দ্রুত ও কম খরচে সরকারি ও বেসরকারি সেবা পাবার মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জীবনমানের ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে।

 

‘জনগণের দোড়গোড়ায় সেবা’ (Service at Doorsteps)-এ ম্লোগানকে সামনে রেখে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার যাত্রা শুরু হয়। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার ফলে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি অবাধ তথ্য প্রবাহ সৃষ্টি করা সম্ভবপরহয়েছে, যেখানে মানুষকে আরসেবার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে না, বরং সেবাই পৌঁছে যাচ্ছে মানুষের দোরগোড়ায়। অবাধ তথ্য প্রবাহ জনগনের ক্ষমতায়নের অন্যতম পূর্বশর্ত। দেশের ৪,৫০১টি ইউনিয়ন পরিষদে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের ফলে গ্রামীণ জনগণের অবাধ তথ্য প্রবাহে অংশগ্রহণসহ দ্রুততম সময়ে তথ্য ও সেবা পাওয়ার পথ সুগম হয়েছে।

 

উপকরণ:

 

এলাকার সর্বসাধারণের জন্য উন্নত তথ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি ইউআইএসসিতে একাধিক কম্পিউটার ও সংশ্লিষ্ট উপকরণ রয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে স্থাপন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। ইউআইএসসির প্রয়োজনীয় উপকরণ আসে উদ্যোক্তার বিনিয়োগ এবং ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল (রাজস্ব খাত ও এলজিএসপি প্রকল্প) থেকে। নূন্যতম স্ট্যাবিলাইজারসহ একটি কম্পিউটার, একটি সাদাকালো প্রিন্টার, একটি কালার প্রিন্টার, অন-লাইন সংযোগ স্থাপনের  জন্য একটি মডেম, একটি স্ক্যানার, একটি ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে একটি ইউআইএসসি-এর কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে শুরু করা সম্ভব। তবে পূর্ণাঙ্গ ইউআইএসসি পরিচালনার জন্য নিম্ন লিখিত উপকরণ দরকার -

একাধিক কম্পিউটার (ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ)

বড় স্ক্রিনসহ ১টি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর

১টি লেজার প্রিন্টার

১টি কালার প্রিন্টার

১টি মডেম

১টি স্ক্যানার মেশিন

১টি লেমিনেটিং মেশিন

১টি ফটোকপি মেশিন

১টি ডিজিটাল ক্যামেরা

১টি ওয়েবক্যাম

১টি জেনারেটর 

 

স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে কোন ইউআইএসসিতে উপরকরণ এর চেয়ে কম বা বেশি থাকতে পারে।

 

ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে পিপিপিপি (পাবলিক-প্রাইভেট-পিপলস পার্টনারশীপ) মডেলের উপর ভিত্তি করে। প্রতিটি ইউআইএসসিতে দু’জন করে স্থানীয় তরুন উদ্যোক্তা রয়েছে, যাদের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী। এ উদ্যোক্তারাই ইউআইএসসি পরিচালনা করে থাকেন। কিছু কিছু কেন্দ্রে একজন নারী ও একজন পুরুষ উদ্যোক্তার পাশাপাশি আরো একজন করে নারী ও পুরুষ ‘বিকল্প উদ্যোক্তা’ হিসেবে কাজ করছে।উদ্যোক্তা ইউআইএসসি’র বেতনভুক্ত কর্মী নন, প্রতিটি ইউআইএসসি’র আয়-ই উদ্যোক্তার আয়। ইউআইএসসি’তে উদ্যোক্তা একজন বিনিয়োগকারীও বটে।

 

পার্টনারশীপ বা অংশীদারিত্ব:

 

স্থানীয় সরকার বিভাগের নেতৃত্বে ইউআইএসসিসমূহ পরিচালিত হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ইউআইএসসি’র তদারকিসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ইউআইএসসি’র প্রয়োজনীয় আইসিটি উপকরন ও উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের অর্থ আসে এলজিডি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) থেকে। এছাড়াও বিসিসি ১০১৩টি বিদ্যুতবিহীন ইউনিয়নে সোলার প্যাণেল সরবরাহ করে দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদকে বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে এসেছে। এর বাইরে একাধিক ব্যাংক-বীমা, মোবাইল কোম্পানী, এনজিও, শিক্ষা-গবেষনা প্রতিষ্ঠান, হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার সমিতি প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা, নতুন দক্ষতা ও কারিগরী সহায়তা নিয়ে ইউআইএসি’র সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছে।

 

ইউএএমএস  বা ইউআইএসসি এ্যাকটিভিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম:

 

ইউআইএসসি উদ্যোক্তাদের আয়ের হিসাব এবং স্থানীয় প্রশাসনের ফলো-আপে সহযোগিতা করার জন্য ইউআইএসসি কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা বা ‘ইউএএমএস’ (http://www.e-service.gov.bd/uams/) নামে একটি অনলাইন সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। ইউআইএসসি উদ্যোক্তারা তাদের প্রতিদিনকার আয়ের তথ্য এখানে আপলোড করে থাকেন।

 

ব্লগ (uiscbd.ning.com):

 

উদ্যোক্তাদের নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া, আন্ত:সম্পর্ক স্থাপন এবং উদ্যোক্তাদের সাথে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরসা থে দ্রুত যোগাযোগের জন্য তৈরি করা হয়েছে ইউআইএসসি ব্লগ (uiscbd.ning.com)। ব্লগটি সারাদেশে বিস্তৃত ৪,৫০১ টি ইউআইএসসি’র ৯,০০২ জন উদ্যোক্তার জন্য এমনই একটি শক্তিশালী অনলাইন প্লাটফরম, যেখানে উদ্যোক্তারা নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করার, সমস্যা চিহ্ণিত ও তার সমাধান খোঁজার, সমবেত ভাবে উদ্যোগ গ্রহণের, স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার, এমনকি প্রয়োজনে নীতিনির্ধারকদের সাথে আলোচনা করার সুযোগ পাচ্ছে।